‘নদীর ব্যাপারে ভারতকে বিশ্বাস করা যায় না’
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১১-০১-২০২৫ ০৪:২৮:৪৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১১-০১-২০২৫ ০৪:২৮:৪৯ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, নদীর ব্যাপারে ভারত অবিশ্বস্ত বন্ধু। ভারতকে নদীর ব্যাপারে বিশ্বাস করা যায় না। তাই বাংলাদেশের পানির ব্যাপারে সেল্ফসাফিশিয়ান হতে হবে। বর্ষাকালে পানি ধরে রাখতে হবে। ভারতের ওপর ভরসা করে থাকা যাবে না।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা বিষয়ক সংগঠন তরী আয়োজিত নদী সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর পূর্বপাড় কাশিনগর এলাকায় নদী সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়।
ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী আরও বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি ভারত তার পশ্চিমাঞ্চলে ট্রান্সফার করতে চায়, যেটি বাংলাদেশের জন্য সমূহ বিপদ। ভারত থেকে যেসব নদীর শাখা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তাদের মধ্যে ব্যাপক পরিমাণ পানি বঙ্গোপসাগরে জমে। বর্ষাকালে ১ লাখ ৪০ হাজার কিউবিক মিটার পানি এসব নদী দিয়ে বহমান হয়। তবে সেসব নদী থেকে গ্রীষ্মকালে ৫ শতাংশ পানি বাংলাদেশে আসে। আর এগুলো নিয়ে ভারত জিও পলিটিক্সকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রীষ্মকালে ভারত পানি তো দেয়ই না, উল্টো গঙ্গার পানি তারা ব্যাপকভাবে নিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশ-ভারত নদী সীমান্তে ভারতে কমপক্ষে ৫০টি ড্যাম অথবা বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পানি যখন বেশি দরকার তখন কম দেয়, যখন কম দরকার তখন বেশি পানি দিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করে। সিলেট এবং ফেনীর বন্যা সেগুলোর প্রমাণ। নদীর ব্যাপারে ভারত অবিশ্বস্ত বন্ধু। তাই ভারতকে নদীর ব্যাপারে বিশ্বাস করা যায় না। তাই বাংলাদেশের পানির ব্যাপারে সেল্ফসাফিশিয়ান হতে হবে। ভারতের ওপর ভরসা করে থাকা যাবে না।
নদী সম্মিলনে তরীর আহ্বায়ক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক ও লেখক আমিন আল রশীদ, বাংলােদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনির হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এ.কিউ.এম সোহেল রানা।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স